বাউফল প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর বাউফলের ধুলিয়া আবদুর রহমান সরদার বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় শূণ্যপদে একজন নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগে পাঁচ লাখ টাকার ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। ওই সুপারের নাম মো. আবুল কালাম আজাদ। সভাপতির নাম ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহবুবুর রহমান। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, করোনা মহামারির মধ্যে চলতি ডিসেম্বর মাসের ৮তারিখ (মঙ্গলবার) সুপার ও সভাপতি পাঁচ লাখ টাকার বিনিময় ধুলিয়া গ্রামের মৃত আজিজ মৃধা ছেলে মো. ইলিয়াস মৃধাকে নিরাপত্তা কর্মী পদে নিয়োগ দেয়। এর আগে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যদিও সেই পত্রিকা গোপন রাখা হয়। ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সাথে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনাও করা হয়নি। সুপার কৌশলে কাগজ কলমে একই পদে কয়েকজন আবেদনকারীর নাম দেখায়। যদিও তা শুধুই লোক দেখানো ছিল। নেওয়া হয় নাটকীয় নিয়োগ পরীক্ষা। অপরদিকে, চাকরি নামের সোনার হরিণ ধরতে ঘুষের টাকা সংগ্রহ করতে ইলিয়াস মৃধাকে বিক্রি করতে হয়েছে জমিজমা। সরেজমিন অনুসন্ধানে ওই মাদ্রাসায় নিরাপত্তা কর্মী পদে নিয়োগে অবৈধ টাকা লেনদেনের সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রতিবেদকের কাছে নিয়োগপ্রাপ্ত ইলিয়াসের মা ও স্ত্রী টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করে। এছাড়াও স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি টাকা লেনদেনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে, টাকার বিনিময় হলেও চাকরি ঠিক রাখতে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন মো. ইলিয়াস মৃধা। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে অফিসিয়াল খরচ তিনি বহন করে বলে স্বীকার করে। এছাড়াও মাদ্রাসার উন্নয়নে আরও টাকা দিতে হবে বলে জানায়।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য বলেন,‘ সুপার ও সভাপতি অবৈধভাবে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। টাকার ভাগ পেয়েছেন কয়েকজন দালালও।’ অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসার সুপাার আবুল কালাম বলেন,‘ টাকার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার হাত দিয়ে টাকা ধরি নি।’ এবিষয়ে জানতে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি রিজিভ করেননি। বিষয়টি বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নাজমুল হকের দৃষ্টি আর্কষণ করা হলে তিনি বলেন,‘ এবিষয়ে আমি কিছু জানি না। টাকা লেনদেন সম্পূর্ণ অবৈধ। আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।
Leave a Reply